জয়দীপ মৈত্র
বীজ, তব পথপানে
৭
মৃত্যুর পর
কুকুরের ঋতুতে বেড়াল ঢোকে
রেহাইপাখির দিকে চেয়ে থাকলো খাঁচা
কুকুর ভাঙলে কুকুর অবয়বের বেড়াল
পাখি ভাঙলে বেড়াল অবয়বের পাখি
আরও আরও যাও খাঁচার পরম অবস্থা
পাখি পাখিদূর পুষতে পুষতে অসীমে উড়ে যাচ্ছে
কোনও খাঁচা তাকে ভাঙা ও না ভাঙার
প্রজনন বা অনুপাত
৮
ভাবো আরও যাব প্রাণীর হাড়ে
প্রাণের চিঠি লিখতে লিখতে
লিখে উঠে যাওয়া নক্ষত্র
গলির পর গলি খুঁজছি
পিঁপড়েরা এগোচ্ছে সমস্ত পাড়া
টিকটিকিপাড়া দিয়ে তৈরি পিঁপড়ে
টিকটিকির মানচিত্রে বসে থাকা
আরশোলাকেও উপায় মনে হয়
৯
আমি তো বিবর্তনমাত্র
স্থির কিছু কামড়েছিল ঘাড়ে
তারপর মায়ের দাঁত চিনেছি
কীভাবে বুকের তিনটে গোল একই পংক্তিতে আসে
বুকের পাহাড়ে ছেদ করে ডুবে যায়
এ শরীরে আরও লাল লুকিয়ে থাকে
দুধ নামে সর্বত্র দুধ ওঠে সর্বত্রর অভিনয়
লাল বলে কাঁপতে কাঁপতে দেহ দুভাগ করি
বেদনার আলোয় ওড়ে ঘাড়ের সে ভাগের পোকা
১০
কান্নার তারা আঙুলে জুড়ে জুড়ে শিশুকে হাসাই
দ্যাখো কর্মফল আসবে
পরিণামে শব্দ এলে খিদে এলে ঋতুরা শুদ্ধ হয়
ফলের মেয়ে পুরুষের ফল চুষে
ঘনসন্নিবিষ্ট হয় ফলের চিহ্ন
আকৃতি লিঙ্গহীন নিষ্ক্রিয় গড়িয়ে আসা এক
আকারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে গড়িয়ে আসা বহু
১১
প্রভাতি উপায়গুলি রাত্রির বিচ্ছেদসেতু
যেভাবে বিপুল এই চামড়ার কারখানা
অবয়ব হয় আর অবয়বের
উৎপাদনের দমে বাতাস ভাগ করি
এক দেহ দুই শবের ধাম
নিত্য সরু এক পথ প্রসব বুনছে
প্রসবের ধাতু অব্দি শুধু হাঁটো
পৃথক ধাতুতে হেঁটে যাও
১২
মরলে শীতের মত ধাওয়া কোরো না
বরফে চাপা থাকো
থাকতে থাকতে নক্ষত্র ফুলে উঠতে পারে
আমার ওপর দিয়ে উঠতে
চেষ্টা করেছি অনেক
আঙুলে আকাশের দাগ
কুয়ো খুঁড়ে নখ অনন্ত নখে
দাগের প্রাণী কাটে ও লম্বা হয়
১৩
দুলছে আর দোলা ফুলে উঠছে
দুটো ঘটনাই নিয়েছে সাদা ফুল কালো ফুল
মাঝে এত রঙ কেন
মালীর রঙ তুমি জানালা হয়ে আছো
ফুলের গোল হয়ে দুলছ সমস্ত স্থিরদৃশ্যের দিকে
জয়দীপ, এক্কেবারে বদলে যাওয়া তোর এই গুচ্ছ বা দীর্ঘ কবিতা,যাই বলি-না কেন। খুব মজে থাকলাম।
ReplyDeleteঅন্য জয়দীপ মৈত্র!
ReplyDelete