শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
সংশ্লিষ্ট
৭
আসলে সমস্ত কালই বন্ধ্যা
যখন সবকিছুই অতীতভাষ্য
তখন কবিতা কোন দিকে যাবে মাথা না ঘামানোই ভাল
আমরাও মৃত কবিদের বাড়ি খুঁজে বের করেছি,
সেই সব এলাকা থেকে অনির্দিষ্ট গন্তব্য প্রবণতা
চিহ্নিত করেছি যেমন বারবার বৃষ্টি পরিধির বাইরে উড়তে চাওয়া পাখি
আমাদের একত্র থাকা আসলে ওই উড়ানজেদ
তাদের সংশ্লিষ্ট বর্তমান
৮
চারপাশে যখন সমবেত প্রতিবাদ
এতদিনের স্থিরতার শুকনো ফল কে পারদ যন্ত্রে মেপে দেখা
ভাবি ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে
এতদিনের অতীতকামী প্রবাহ
দুপুর কে ভয় পাওয়ানোর মুখোশ আমরা তৈরি করে নেবো
যেমন এদেশে জল ও আগুন জড়িয়ে থাকে মৃত্যুর সঙ্গে
তেমনই তাদের সংশ্লিষ্ট বর্তমান
একটা চাবিকাঠি আমাদের জলের কাছাকাছি বিকেল হয়ে ওঠার
অথচ আমাদের গোপন ইচ্ছা খেলনা রাজ্যের বিপ্লবী নেতা হওয়ার
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী আঙুল ও সন্ত্রাস
শুধুই বাতাসের তৈরি আসবাব হয়ে উঠছি আমরা
৯
যেন বোলতার দল আচমকা আবিষ্কার করে নিয়েছে পাখিতে খাওয়া আম
পাশেই কারও লাশ ও তার ঝোলার বাঁশি
নতুন এক দানবীয় পুতুল নির্মাণে মেতেছি আমরা
তাদের সংশ্লিষ্ট বর্তমান তৈরিতে
রাস্তা কখনই বাঁকে না বাস্তুকারের অনিচ্ছায়
মোড়ের জ্যামিতি জুড়ে নতুন বেসাতি
বিকেলের গ্রীষ্মরং আবার ভোটের দিন
একধরণের কাগজের বাদ্যযন্ত্র আমরা
একধরণের ছায়া না তৈরি করতে পারা অ্যাসিড রৌদ্র
জমাট ভাবনার মত অসহ্য কোনও উপমা
কেন এই ফোসকা পড়া বাস্তব ?
কেন এই ফালতু বাগবিধির সামনে মাথা ঘুঁজে পালানো?
কেন আমাদের নৈঃশব্দ্য ওদের খুলি ফাতিয়ে দিতে পারছে না?
১০
যেন সদ্য শিশু সহস্র মাতৃগর্ভে ফিরতে চাইছে
যেন এক সদ্য মা জঙ্গলে খুঁজে চলেছে
অমরা পুঁতে রাখার মাটি
যেন এক মাটি ও তার উপর ভারি পশু চলাচলের দাগ
স্বপ্নের দ্রুতির মসৃণতায় ধীর লয়ে ছোপ পড়ছে অব্যবহারের
যেমন শারীরিক যন্ত্রণা আসন্ন বার্ধক্য ইত্যাদি
আমরা সরে এসেছি সমাজ-মূলক থেকে
তাদের সংশ্লিষ্ট বর্তমান
একটানা অন্ধত্বের সামনে তীব্র আলোক
জন্ম বধিরের সামনে নৈঃশব্দ্য
হ্যাঁ আমি চেয়েছিলাম ওয়াটারলিউড বলে
কোনও সঙ্গীত পর্বের নাম খুঁজে পেতে
দমবন্ধ করা সমস্ত রকমের জানলায়
আছড়ে পড়া শিলা ও আমার বাদলধারার আয়নায়
এসো হে নামক নিশিথরাত
দেশ ছাড়ার কথা
১১
সমস্ত কিছুই শেষ হয় এমনকি বদলে যাওয়াও
যেভাবে আমরা পরস্পরকে ভুল খুঁজছিলাম
সমস্ত মানচিত্রে একটা আগুনের নীল জ্যামিতি আমাদের ঘিরে নিয়েছিল
আমরা বুঝতে চাইনি পরস্পরের প্রকৃত নিশ্বাস আসলে
ধাতব চূর্ণ মিশিয়ে দিচ্ছিল প্রতিটা চুম্বনে
নিষেধ ভাল লাগত না
যেমন স্বাধীনতার ভিতরকার অধীন
বরং লিবেরতাদ ভালো
মুক্তির ভাব
বারবার ফিরে আসার একটা কারণ থাকতে হয়
যেভাবে অনুদানের পরিত্যক্ত অ্যাম্বুলেন্স
তাতে ফিরে আসা বর্ষা ও মুছে যাওয়া বিদেশি অক্ষর
ভাষার ফেরবার মত দুনিয়া আমাদের চারপাশ থেকে তুলে নিয়েছে কেউ
যেমন মনোজ শব্দটা শুধু পূর্বাপর ব্যাকরণহীন একটা নাম মাত্র
এভাবেই ধীর রোদ্দুর সেলাই করা পোকাগুলো
কেটে দিয়েছে আমাদের ফেরার টিকিট
তাদের সংশ্লিষ্ট বর্তমান
গ্রীষ্মপ্রিয় মানুষের রং
Post a Comment