DEHLIJ

শৌভিক দত্ত

অস্থায়ী



কিছুটা ধ্বংসস্তূপ থাকে

নুয়ে আসে জলের অক্ষর


কথাবসানো গাছেরা চুপ

পাথরের একটানা চলে গেছে

বসতিপরবে রাখা খোলা খাম

তার ভেজা জড়োয়ায়

আলোর বাণিজ্য রেখে চলে যাও


পুতুল উপচে আটকে থাকা দিন

তোমায় চেনেনা

অস্থায়ী ফুলের ভেতর

চাউনিহরফ আর দীর্ঘ চিলেকোঠা


শুনশানে কিভাবে ঠিকঠাক নদী

তুমি আমি কেউই জানিনা

ব্যস্ত ঘুমের ভেতর থেকে যায়

ভাঙ্গামাঠ মেঘলা সালিশী …।।




যখন ঠাণ্ডা সেলাই হচ্ছে


উলু উড়ে যাওয়ার পর মাংসের টাটকা রাখলাম যেটুকু, তার দেয়ালে 

অতর্কিত বাসা বাঁধে। সম্মোহিত ঘোড়াদের আমি পেছনে রেখে এসেছি।

রেখে এসেছি তেত্রিশ কোটি চাঁদ ও ভাঙা আস্তাবল। মুদ্রাদোষের বাইরে

তখন অমরত্বের পৃষ্ঠা সেলাই হচ্ছে । সেলাই হচ্ছে পতাকার বিপরীতে 

থাকা মানুষ । হাত একবার এগোচ্ছে আর পিছোচ্ছে । দশ বাই দশের 

এই ভূখণ্ড আমার বাস্তবতা । সাঁতারের বাইরে কিছু জল চুল্লীর অপেক্ষায় ।

ধ্বনির নিরিবিলিরা যখন অলিখিত মাছ , তাদের শরীর থেকে সময়চিহ্ন

ছাড়িয়ে দিয়েছি অনেকবার । সমাধির ভেতর রাখা আমার শরীর তখন সিঁড়ি ।

ধাপ উঠে যাচ্ছে নদীর বৈঠকে । 


সমীকরণ আর দৃশ্যের বিপরীতে এই জন্মফেরী । আমার দাগ মুছে রাখা ।

আলোরচনায় আলোচনা নিভে আসছে । মাটির বন্ধ্যাত্ব জুড়ে এক সহ্য শীতকাল।

পাথর রাখতে পারছি না কোথাও ।




শৈত্যের ভেতর ঘুমিয়ে আছে নিরাপত্তা


ভেতরের এক কঠিন সময়

থাকার ভেতর

এক অন্যরকম ক্লান্তি ও ছাইদান

নিরাপত্তা সংক্রান্ত চিঠি

শৈত্য নামলে

ছোবলের প্রয়োজন হয়

নির্বাচিত অস্ত্র আমি

গাছের কাছে রেখে এসেছি

                                    টুকরো বিবেক ও পায়ের জ্বালানি

এসময়

ঘুমিয়ে পড়েছে


আশ্চর্য চাঁদেরা এসেছে

পর্দাশীতে পুরনো ছায়ায়

আমরা দেশ ভাবছি

ভাবছি

হিংসার ওপারে কোনও নিরাময় নেই …।। 


No comments

FACEBOOK COMMENT