যশোধরা রায়চৌধুরী
চিন্তাবিষয়ক
দ্যাখ ভাই, ওসব ভুলভাল কথা
যখন বলি, আমি চিন্তা করি , তাই আমি আছি
ওটা যত বলবে তত মনে হবে, আমি যদি চিন্তা করি, তবেই
একমাত্র আমি থাকব ।
চিন্তা করতে করতে মাথা ফেটে যাবে
কিন্তু গোটা একটা টেবিল তৈরি হবে না শ্বেতপাথরের
চিন্তা দিয়ে তৈরি করতে পারবে না একটা গোলাপি ফুলশুদ্ধ
বুগেনভিলিয়ার ঝাড়।
পারবে না দেওয়াল বানাতে, ছাত বানাতে।
নিজেকে একখানা বাড়ি উপহার দিতে
আমি তো ভেবেই গেছি ।
ভেবে ভেবে কোণায় ঢুকে গেছি
শব্দ দিয়ে তৈরি একটা ঘুপচির মধ্যে
ভেবে ভেবে তৈরি হল কিছু দুঃস্বপ্ন
আরো আরো চিন্তা।
চিন্তা থেকে চিন্তা বাড়ে
যেন টাকা হাতবদল হয়ে আরো আরো টাকা
তাই আমি আছি বোঝার জন্য চিন্তা থামাও
কিছু কর।
নিজের নিঃশ্বাসের বাষ্প দিয়ে মেঘ বানাও। বাড়ি বানাও,
যদি সে বাড়ির সবকটি দেওয়াল বাঁয়ে হেলে থাকে, তাও
ভালবাস সে বাড়িটাকে, যেমন শীত এলে গ্রীষ্ম এলে ভালবাসি
শিশু যেমন ভালবাসি।
এমনকি নিজের ঘেন্নাটাকেও ভালবাসো
দুচ্ছাই ঘেন্না। তাও তো তোমার কাছে কিছু আছে ঘেন্না করার বাপু
চিন্তা করা সহজ । এত সহজ চিন্তা করেই যাওয়া করেই যাওয়া
যেন তুমিই এ বিশ্বের শেষ ব্যক্তিটি
শেষ অব্দি সেই বিশ্বটা কী দাঁড়ায়? কোথায় দাঁড়ায়?
তোমার বিছানা থেকে উঠে আলোর সুইচ টুকুর মধ্যের শূন্যতায় শুধু
তবে বিশ্বটা নাকিও এমনিতেও গোল্লায় চলেছে
তা যাক না। আমরা সবাই যদি একসঙ্গেই গোল্লায় যাই,
আমিও তার অংশ হিসেবেই যাব তো!
( নিল হিলবর্নের কবিতার ভাবানুবাদ)
Post a Comment